কুর্নিশ সুপ্রীত
সৌম্যজিৎ চক্রবর্তী: সুপ্রীতজি, আপনি কি কখনও কবি সুকান্তের কবিতাটা পড়েছিলেন? নাহলে অমন মনের জোর পান কোত্থেকে! আপনাকে দেখে আজ রানারের কথা বড্ড মনে পড়ছে। আপনিও তো তাই। সঠিক সময়ে সংবাদ পৌঁছে দিতে স্বামীর (হর্ষদ কৌর) মৃত্যুসংবাদটাও কী অনায়াস পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেখালেন।
অবলীলাক্রমে আপাত বজ্রকঠিন মুখে (ভেতরটা যে আপনার চুরমার হচ্ছে তখন কি ছাই বুঝেছি!) ব্রেকিং নিউজ করলেন গাড়ি দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর খবর। আপনি জানতেন মহাসমুন্দ এর পিঠারা দিয়েই রেনো ডাস্টারে হর্ষদের যাওয়ার কথা ছিল চার সঙ্গীকে নিয়ে। কিন্তু সাংবাদিকতার কাজ যে বড় বালাই! এত বড় শোকের মুহূর্তেও কর্তব্যচ্যুত হননি। পুরো খবর (সঙ্গে স্বামীর মৃত্যুসংবাদও) পড়ে তবেই নিউজরুম ছেড়েছেন।
আপনি তো শুধু নিজের কর্তব্যই পালন করেননি সাংবাদিকতার নির্মম পেশাদারিত্বের সংজ্ঞাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন। সাংবাদিককূলের হয়ে সপাটে চড় কষিয়েছেন যারা সাংবাদিক মানেই চিটিংবাজ-তোলাবাজ ভাবে। অবজ্ঞার সুরে বলে ছোঃ! সত্যি বলার ধক নেই আবার সাংবাদিক হয়েছে শ্লা…। এরা কীকরে বুঝবে ভূমিকম্প হলেও তার টিকার বা ব্রেকিং দিয়ে তবেই সাংবাদিকদের বহুতল ছেড়ে নামার পারমিশন মেলে! জানবে কীকরে ২৪X৭X৩৬৫ এই পেশায় অনডিউটি থাকতে হয়! তারওপর সারাজীবন সময়ে মাইনে না হওয়া, বেতনকাঠামো না পাওয়া, বোনাস বকেয়া থাকা, বিনেপয়সায় জনসেবা করা, সংসার চালানোর কষ্ট, অফিস পলিটিক্স সামলানো, স্ট্যান্ডিং নাইট শিফট, উইকেন্ডে বসে বসে খবর পাঠানো, পরিবার-আত্মীয়পরিজনকে সময় না দেওয়া… আর কত বলবো!
কুডোস সুপ্রীত কৌর।
অবলীলাক্রমে আপাত বজ্রকঠিন মুখে (ভেতরটা যে আপনার চুরমার হচ্ছে তখন কি ছাই বুঝেছি!) ব্রেকিং নিউজ করলেন গাড়ি দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর খবর। আপনি জানতেন মহাসমুন্দ এর পিঠারা দিয়েই রেনো ডাস্টারে হর্ষদের যাওয়ার কথা ছিল চার সঙ্গীকে নিয়ে। কিন্তু সাংবাদিকতার কাজ যে বড় বালাই! এত বড় শোকের মুহূর্তেও কর্তব্যচ্যুত হননি। পুরো খবর (সঙ্গে স্বামীর মৃত্যুসংবাদও) পড়ে তবেই নিউজরুম ছেড়েছেন।
আপনি তো শুধু নিজের কর্তব্যই পালন করেননি সাংবাদিকতার নির্মম পেশাদারিত্বের সংজ্ঞাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন। সাংবাদিককূলের হয়ে সপাটে চড় কষিয়েছেন যারা সাংবাদিক মানেই চিটিংবাজ-তোলাবাজ ভাবে। অবজ্ঞার সুরে বলে ছোঃ! সত্যি বলার ধক নেই আবার সাংবাদিক হয়েছে শ্লা…। এরা কীকরে বুঝবে ভূমিকম্প হলেও তার টিকার বা ব্রেকিং দিয়ে তবেই সাংবাদিকদের বহুতল ছেড়ে নামার পারমিশন মেলে! জানবে কীকরে ২৪X৭X৩৬৫ এই পেশায় অনডিউটি থাকতে হয়! তারওপর সারাজীবন সময়ে মাইনে না হওয়া, বেতনকাঠামো না পাওয়া, বোনাস বকেয়া থাকা, বিনেপয়সায় জনসেবা করা, সংসার চালানোর কষ্ট, অফিস পলিটিক্স সামলানো, স্ট্যান্ডিং নাইট শিফট, উইকেন্ডে বসে বসে খবর পাঠানো, পরিবার-আত্মীয়পরিজনকে সময় না দেওয়া… আর কত বলবো!
কুডোস সুপ্রীত কৌর।
Comments
Post a Comment